ঝালকাঠির রাজাপুরে বিষপানের পর রোলা মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাবার দাবি, ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
অভিযুক্ত রোলা দিঘিরপাড় এলাকার আরিফ হাওলাদার (২০) ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ইভটিজিং করে আসছিলেন আরিফ। গত ৩০ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত আরিফ ও তার সহযোগীরা আমার মেয়ের পথ রোধ করে ইভটিজিং করে। তখন মেয়ে আমাকে মোবাইল ফোনে জানালে এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মৃধাবাড়ি এলাকায় থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ সময় অভিযুক্তদের ধরে হাজিরহাট নিয়ে এলে তারা ইভটিজিং করবে না, এমন মুচলেকা দেয়। পরে আরিফের দাদা সালামের জিম্মায় তাদের দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবার মেয়ের পথ রোধ করে টানাহেঁচড়া শুরু করেন অভিযুক্তরা। এ সময় মেয়ের স্মার্ট ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে ইভটিজিংয়ের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে লোকলজ্জার ভয়ে বিষপান করে আমার মেয়ে।’
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) পাঠান চিকিৎসক। সেখানে সে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত আরিফ হাওলাদারের মা নাসিমা বেগম জানান, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার ছেলের যোগাযোগ ছিল এবং তারা দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তার ছেলেকে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে আটকে স্থানীয়রা মারধর করায় ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে চট্টগ্রামে জাহাজে চাকরি পাওয়ায় সেখানে চালে যান।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রী বা তার পরিবার কোনো অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন