ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সজীব ও আরিফ লালচাঁনের নাম উঠে এসেছে।
তারা রোববার (১৭ আগস্ট) উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চরলাপাং সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালু ও পাথরবাহী নৌযান থামিয়ে চাঁদা আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনা তদন্তে বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা অঞ্চল নৌ-পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ সুপার (নৌ-পুলিশ, ঢাকা অঞ্চল) আবু মো. দিলায়র হাসান ইনাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পরিদর্শক গোলাম রব্বানী এবং কনস্টেবল মুন্নাফ প্রমাণিক।
এ ঘটনায় ১নং ওয়ার্ডের সদস্য সামিম আহামেদ জীবন, নিয়াজুল্লাহ ও মনির হোসেন বলেন, প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করা হোক।
এ বিষয়ে পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুর আলম নুর আজ্জম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমি চাই দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে।
তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু মো. দিলায়র হাসান ইনাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। এরই মধ্যে অভিযুক্ত কনস্টেবলদের নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন