স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আসে। আমাদের বর্ডারগার্ড ও কোস্টগার্ড সতর্কতার সাথে কাজ করছে তারপরও মাদক আসছে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, ভারত থেকে ফেনসিডিল আসার প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে, মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বললেও কোনো ফল হচ্ছে না। আমরা এ বিষয়েও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের কোস্টগার্ড ও বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করছি। ইতোমধ্যে বিজিবিকে শক্তিশালী করার জন্য তাদের হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে যদি ধরে রাখতে না পারি, তাদের যদি মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে দেশ যেদিকে যাওয়ার চিন্তা করছে তা অসম্ভব হয়ে যাবে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স কথা বলেছেন। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা কঠোর হস্তে দমন করার চেষ্টা করছি। এ ক্ষেত্রে সমাজের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
কিশোর অপরাধ ও মাদকের বিস্তৃতির বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘করোনার সময় স্কুল কলেজগুলো বন্ধ ছিল, আমাদের সবকিছুতে একটা অস্থবিরতা এসেছিল। সেই সময় কিশোর গ্যাং নামে নতুন অস্থিরতা শুরু হয়েছে। তারা না বুঝেই অনেক অপরাধে জড়িত হচ্ছে। এদের সংশোধনের জন্য অভিভাবক, সমাজের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। তাদের বয়স এমন যে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। তারপরও আমরা সামাজিকভাবে যেখানে যা করার প্রয়োজন করা হচ্ছে।
‘আমাদের একটা সংশোধনাগার আছে, সেখানেও হচ্ছে না। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের কাছে এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন, সমাজকল্যাণমন্ত্রীসহ সকলকে নিয়ে কাজ করছি। আশা করি, ভালো সুফল পাব।’ যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বিএনপির আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তো জ্বালাও পোড়াও আজকে করছে না। আপনারা ১৩-১৪ তে দেখেছেন না, কীভাবে তারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছে। বাস পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে, জীবজন্তু পর্যন্ত বাদ যায় নাই। আপনারা তো সেই দৃশ্য দেখেছেন। বিএনপি-জামায়াতের বৈশিষ্ট্যই এটি।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী বার্ন হসপিটাল তৈরি করে তাদের শুশ্রুষা করেছেন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এজন্য প্রস্তুত আছে, যারাই এ ধরনের অপকর্ম করছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, নারাযণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন