ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগে নলছিটি থানার এএসআই আল আমিন মোল্লা (৪২) বিরুদ্ধে ঝালকাঠি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এদিকে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মো. আব্দুল হামিদ পিরোজপুর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীর আইনজীবী খান শহীদুল ইসলাম।
ঝালকাঠির মামলা কেন পিরোজপুর পিবিআইকে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মামলার বাদীর আইনজীবী খান শহীদুল ইসলাম বলেন, আসামি ঝালকাঠি পুলিশে কর্মরত থাকায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচারক পিরোজপুর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামি আল আমিন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার উত্তর মুড়াদিয়া গ্রামের ইউনুচ মোল্লার ছেলে ও বরিশালের মুলাদি থানায় কর্মরত রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজাপুর থানার এএসআই আল আমিনের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে ফোন ও থানায় এনে যোগাযোগ শুরু করে এবং বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। পরে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর এক ব্যক্তিকে কাজী সাজিয়ে কয়েকটি নীল কাগজে সই করিয়ে বিয়ে হয়ে গেছে বলে জানায়।
১৬ ডিসেম্বর রাত থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত এএসআই আল আমিন রাজাপুর ও নলছিটি থানায় কর্মরত থাকাকালে ওই নারীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানের হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও তার কাছে বাসা ভাড়া নিয়ে রাখার দাবি করলে তাকে নির্যাতন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে এএসআই আল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন কেটে দেন এবং তার ব্যবহৃত হোয়াটসআপে এ বিষয়ে খুদে বার্তা দিয়ে তার মতামত জানতে চাইলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন