বগুড়ায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার রায়ে স্বামী ফিরাজুল ইসলামকে শাস্তি দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩১ আগস্ট) বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২-এর বিচারক সাদিয়া আফসানা রিমা এই রায় দেন।
ফিরাজুল ইসলামকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ফিরাজুল ইসলাম সোনাতলা উপজেলার মহেশপাড়া গ্রামের ছানোয়ার মণ্ডলের ছেলে। তিনি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারের পর থেকে তার সাজা কার্যকর হবে। বগুড়ার আদালত ইন্সপেক্টর এই মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিন্ত করেছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে নুরুন নাহার মিতুর সঙ্গে ফিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ঘর-সংসার করাকালে যৌতুকের টাকার দাবিতে ফিরাজুল তার স্ত্রী নুরুন নাহার মিতুর ওপর শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে ফিরাজুল ২০২৩ সালের ২ জুলাই বিকেলে মিতুর বাড়ি শ্যামপুর গ্রামে যান এবং যৌতুক হিসেবে ১ লাখ টাকা মিতু ও তার বাবা-মায়ের কাছে দাবি করেন। যৌতুকের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ফিরাজুল তার স্ত্রী মিতুকে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। এ ব্যাপারে মিতু বাদী হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শাহজাদী লায়লা আরজুমান বানু।
মন্তব্য করুন