কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে বিপুল ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়া সুজানগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদস্য সচিব এবং পাবনা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) এবং মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক বহিষ্কারাদেশের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন পাবনার সুজানগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদস্য সচিব ও সুজানগর পৌর এলাকার ভবানিপুর এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ মণ্ডল এবং পাবনা জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পাবনা পৌর এলাকার দোহারপাড়ার মৃত জহুরুল ইসলাম রইসের ছেলে রাশেদ রানা।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা কৃষক দলের এক বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, পাবনা জেলার অধীনে পাবনা সুজানগর থানা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদস্য সচিব মজিদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ফেসবুকে অনাভ্রিত/অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রচার হয়।
রোববার (৩১ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ থানায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল পাবনা জেলা শাখার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাকে দল থেকে অব্যহতি প্রদান করছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সংসদের কাছে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে পাবনা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাশেদ রানাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতারা কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের ফুড ভিলেজ হোটেলের সামনে থেকে তাদের আটক র্যাব-১২। পরে তল্লাশির এক পর্যায়ে আটকদের কাছ থেকে বিপুল ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করে সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তারা দুজনে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
মন্তব্য করুন