শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নের গৌরাঙ্গ স্টেশন বাজারে খাস জায়গা ও খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা দোকানঘর নিজের সম্পত্তি বলে ভাড়া দিয়ে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে।
এ নিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় এক বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগও করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, স্থানীয় কিছু অসাধু লোক কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে খাসজমি দখল করে দোকান নির্মাণ ও কেনা-বেচা চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গৌরাঙ্গ স্টেশন বাজারে সরকারি খাস জায়গা ও খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন স্থানীয় কুদ্দুস মোল্লা। এ নিয়ে হোসেন আলী পেদা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা গত ৩০ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগও করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, খালের পাশে যাতায়াতের সরকারি রাস্তা এবং কালভার্ট। রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন মালবাহী গাড়ি চলাচল করে। কালভার্টের ও সরকারি রাস্তার কিছু অংশ বন্ধ করে দোকানঘর তৈরি করায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার রাস্তা বন্ধ করে দোকানঘর উত্তোলন করতে নিষেধ করলেও তিনি সেটি মানেননি।
এ বিষয়ে হোসেন আলী পেদা বলেন, আমার বাসার পাশে সরকারি খাল এবং খালের পাশে যাতায়াতের রাস্তা। এখন খাল ও রাস্তা দখল করে দোকানঘর উত্তোলন করায় আমি এবং আমাদের এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। গ্রামের কিছু দোকানদার এই রাস্তা দিয়ে তাদের দোকানের জন্য মালামাল নিয়ে যায়। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দোকান উত্তোলন করার কারণে এখন গাড়ি নিয়ে তেমন যেতে পারে না। এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি চাই প্রশাসন যেন সরকারি খাল ও খাস জায়গা উদ্ধার করে জনগণের চলাচল করার সুযোগ করে দেয়।
দোকান উত্তোলনকারী কুদ্দুস মোল্লা জানান, তিনি প্রায় ৪ বছর ধরে এই বাজারে ব্যবসা করছেন। প্রতিবছর খাজনা দিয়ে দোকানে ব্যবসা করছি। তবে দোকানের জায়গা সরকারি খাস জমি এটা ঠিক। সরকার উঠায়ে দিলে আমরা চলে যাব।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তহসিলদারকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন