চট্টগ্রামে ভুয়া পে-অর্ডার তৈরি করে কর ফাঁকি ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ লেনদেনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের দুই ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তার পাশাপাশি সাবেক কর কমিশনারও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের দুই ছেলে আসাদুল আলম মাহির এবং আশরাফুল আলম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, খাতুনগঞ্জ শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (বরখাস্ত) মো. হেলাল উদ্দিন, পটিয়ার মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক আইসিটি ডিভিশনের সাবেক কর্মকর্তা মো. আহসানুল হক, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, শামীমা আক্তার, মো. আনিস উদ্দিন, গাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব এবং কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রামের সাবেক উপকর কমিশনার আমিনুল ইসলাম।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া পে-অর্ডার তৈরি করে কর ফাঁকির চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে ২০২১-২২ অর্থবছরে কর রিটার্ন দাখিলের সময় আসামি আসাদুল আলম মাহির ও আশরাফুল আলম ভুয়া তারিখ ব্যবহার করে ২৫ কোটি টাকার পে-অর্ডার প্রদর্শন করেন।
তদন্তে দেখা যায়, পে-অর্ডার তৈরির তারিখে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা জমা ছিল না। পরে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে ব্যাংকের হিসাব বিবরণী জালিয়াতির মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। এতে কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা প্রত্যয়নপত্রে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করেন। এমনকি সাবেক কর কমিশনারও ভুয়া পে-অর্ডার নথিভুক্ত করেন।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব লেনদেনকে ‘ভুয়া ও বানোয়াট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা জাল নথি তৈরি করে কর ফাঁকি ও দুর্নীতির শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
ঘটনাগুলো ঘটেছে ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের খাতুনগঞ্জ ও পাঁচলাইশ এলাকায়।
দুদক সূত্র জানায়, এ মামলায় জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন