পশু-প্রাণীকে রোগবালাইয়ের কবল থেকে বাঁচাতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আমদানি করা হয়, তাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, রোগবালাই থেকে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় ভ্যাকসিন আমদানি করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। তাই দেশে সব ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে খামারি ও গৃহস্থরা বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে তা সংগ্রহ করতে পারবেন। তখন আর ভ্যাকসিনের সংকট থাকবে না।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক পোলট্রি রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মাংস ও ডিমের উৎপাদন বাড়াতে আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখান থেকে উন্নত দেশি ও বিদেশি জাতের হাঁস-মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করে উত্তরাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হবে। এতে পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
এর আগে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন