প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুপ্রত্যাশিত প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (নাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ১৬ পৃষ্ঠার খসড়া গঠনতন্ত্র।
খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরাই ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে ইভিনিং, উইকএন্ড, এমফিল, পিএইচডি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকার থেকে বাদ পড়বেন।
প্রার্থী হতে হলে অন্তত একটি শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন থাকতে হবে এবং চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী পরিচয় বহাল থাকতে হবে। এ ছাড়া শাস্তিপ্রাপ্ত বা শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।
নাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদকসহ সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, গ্রন্থাগার, অর্থ, সমাজসেবা, মানবাধিকার, প্রচার ও বিতর্ক সম্পাদকীয় পদ মিলিয়ে মোট ২০টি পদ থাকবে। এর সঙ্গে থাকবেন চারজন নির্বাহী সদস্য। সংসদের মেয়াদ এক বছর। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে। তবে ভিপি-জিএস-এজিএসের মধ্যে কারা সিন্ডিকেট সদস্য হবেন, খসড়ায় সেটি উল্লেখ করা হয়নি।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে একজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থকের স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। কোনো ভোটার একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। পুরো নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় নাকসুর জন্য পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। সভাপতি, সহসভাপতি ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে এ হিসাব পরিচালিত হবে। সংসদের সব আর্থিক কার্যক্রমে বাজেট প্রণয়ন ও অডিট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হলে পৃথক হল সংসদ গঠিত হবে। এখানে প্রভোস্ট থাকবেন সভাপতি এবং হাউস টিউটর কোষাধ্যক্ষ। সম্পাদকীয় পদগুলোতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটে প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রয়োজনে প্রভোস্ট উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন দিতে পারবেন। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সিন্ডিকেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
মন্তব্য করুন