তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষার উন্নয়নে বেসরকারি অনেক কার্যক্রম বা উদ্যোগের অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার পর থেকে বেসরকারি অনেক উন্নয়ন সংস্থা শিক্ষা খাতে বিশেষ নজর দিয়েছে, এখনো তাদের অনেকের কর্মসূচি চলমান। বড় বড় সংস্থার পাশাপাশি স্থানীয় অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশনের ছোট ছোট কিছু কার্যক্রম এতটাই প্রভাব বিস্তারকারী যে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এমনটিই দেখা যাচ্ছে খুলনার তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলায়।
উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ মল্লিক ফাউন্ডেশন এ অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের নেতৃত্বে চলছে ফাউন্ডেশনের সার্বিক কার্যক্রম। ফাউন্ডেশনের পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের শিক্ষা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব এ নেতার উদ্যোগে স্থানীয় স্কুল-কলেজের মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হয়েছে বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি, যার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরে পুরো বার্ষিক শিক্ষা ফি প্রদানসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে ফাউন্ডেশনটি।
অভিভাবক ও শিক্ষকরা বলছেন, এই শিক্ষাবৃত্তি শুধু আর্থিক সহায়তাই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় নতুন করে উৎসাহ ও উদ্দীপনা জোগাচ্ছে। অনেক পরিবার যেখানে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খায়, সেখানে এই সহায়তা আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে উঠেছে।
শুধু স্থানীয় পর্যায়েই নয়, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে আব্দুল মজিদ মল্লিক ফাউন্ডেশন। এতে অনেক শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু শিক্ষাবৃত্তিই নয়। স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণদের সংবর্ধনাসহ উপহার প্রদান ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে ছাতা বিতরণ করছে ফাউন্ডেশনটি।
এ বিষয়ে ফাউন্ডেশনের পরিচালক পারভেজ মল্লিক বলেন, তেরখাদা একটি অবহেলিত প্রত্যন্ত অঞ্চল। এই অঞ্চল থেকে পড়াশোনা করে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া যে কতটা কঠিন এই বাস্তবতা আমরা অন্তত উপলব্ধি করেছি। এই অঞ্চলের অনেকেই মাঝপথে শিক্ষা থেকে ঝরে যায়। তাই কেউ যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মজিদ মল্লিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত থেকে দূরে রাখতে ইতোমধ্যেই আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমাদের এই কাজের উদ্দেশ্য হলো এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা ও এই অঞ্চলের তরুণ প্রজন্মকে সুশিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তোলা। আমরা যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারব।
মন্তব্য করুন