সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার (এসএমপি) আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেছেন, সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় ট্রাফিক আইন মানতে রাজি করতে মোটরসাইকেল আরোহীদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা আসলে অনুমোদিত নয়। ব্যাটারিচালিত রিকশার যারা চালক তারা প্রশিক্ষিত নন। তারা ট্রাফিক আইনগুলো জানেন না। হঠাৎ করে যেকোনো জায়গায় তারা বাঁক নিয়ে ফেলেন। এতে অনেক সময় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটা আইনগতভাবে বৈধ নয় এজন্য আমরা বলেছি, ব্যাটারিচালিত যে অটোরিকশা সেটা মেট্রোপলিটন এলাকায় চলবে না। আমাদের যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা এবং তাদের জীবন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমাদের এ নির্দেশনা।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা যানজট নিরসনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব এবং নগরবাসী যেন স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারেন সে ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ থাকবে। মোটরসাইকেলে যারা যাত্রী হবেন এবং যিনি চালাবেন সবার জন্য কিন্তু হেলমেট পরাটা বাধ্যতামূলক। হেলমেট শুধু আইন মানার বিষয় নয়, এটি জীবন রক্ষাকারী ঢালও। নিরাপদ সড়ক গড়তে প্রত্যেক চালককে নিজের দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে।
১২ লাখ নগরীর বাসিন্দারা যানজট থেকে মুক্তি চান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুস বলেন, সবাই ফুটপাতে নিরাপদে হাঁটতে চান। আমরা সেরকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য কাজ করছি। ফুটপাত হকারমুক্ত হবে, রাস্তা যানজট মুক্ত হবে, রাস্তাঘাটে সবাই নির্ভয়ে চলাফেরা করবে।
ফুল দিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের শুভেচ্ছা জানানোর আয়োজনকে ঘিরে শহরের পরিবেশ ছিল বেশ উৎসবমুখর। ট্রাফিক বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এ কার্যক্রমে অংশ নেন।
কমিশনার মোটরসাইকেল আরোহীদের সচেতনতার প্রশংসা করেন এবং অন্যদেরও একইভাবে নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণে আহ্বান জানান। পুলিশ কমিশনারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পথচারী ও সাধারণ মানুষকেও আকৃষ্ট করে।
মন্তব্য করুন