বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো দাবি করছে, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ পিআরের পক্ষে রয়েছে। তাহলে সরাসরি নির্বাচনে আসতে আপনাদের ভয় কিসের। আপনারা নির্বাচনকে অনিশ্চিত করতে হাসিনার মতো ফাঁকা মাঠ তৈরির যে পাঁয়তারা করছেন বাংলাদেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, আপনারা জাতীয় পার্টিসহ সব ফ্যাসিবাদী দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। আমরাও চাই আওয়ামী লীগসহ সব দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তবে সেটা নির্বাহী আদেশে নয়, আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে। যাতে পরে আবার আসার সুযোগ না থাকে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ সমজিদ সংলগ্ন বাইতুস-শরফ মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত বিএনপির সদর উপজেলার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, হাজারও শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত ইউনূস সরকার। তাই ইউনূস সরকারের সফলতা মানে, বাংলাদেশের সফলতা। ষড়যন্ত্র করে এ সরকারকে হারানো যাবে না। কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে এ দেশের জনগণ মাথা নত করবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর অপরাজনীতির ফাঁদে দেশের জনগণ পা দেবে না।
আসন্ন দুর্গাপূজা বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের ইমেজ নষ্ট করতে না পারে সে জন্য বিএনপির সব নেতাকর্মীকে মণ্ডপে মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। হিন্দুরা বিএনপিকে ভোট দেয় না এ ধারণাটি ভুল। বিএনপি হবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মিলনস্থল। আগামী নির্বাচনে জনগণই তা প্রমাণ করবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গত ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের নজির স্থাপনের আহ্বান জানান তিনি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, বিএনপি নেতা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, খাদেম নেয়ামুল নাসির আলাপ, খান মনিরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম গোরা, খায়রুজ্জামান শিপন, সৈয়দ নাছির আহম্মেদ মালেক, তালুকদার শহিদুল ইসলাম স্বপন।
সম্মেলন শেষে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। নির্বাচনে সভাপতি পদে দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন এবং দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন কমিটির ৭১০ নেতা এতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
মন্তব্য করুন