রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজশাহীতে আজও চলছে বাস ধর্মঘট, বিপাকে দূরপাল্লার যাত্রী

রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে বন্ধ দেখা গেছে কাউন্টার। ছবি : কালবেলা
রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে বন্ধ দেখা গেছে কাউন্টার। ছবি : কালবেলা

বেতন বৃদ্ধি ও ভাতা দেওয়াসহ একাধিক দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহী-ঢাকা রুটে দূরপাল্লার অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালেও রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে ন্যাশনাল, দেশ, হানিফ, গ্রামীণ ও শ্যামলী ট্রাভেলসের কাউন্টার বন্ধ দেখা গেছে। ফটকের সামনে ঝুলছে কর্মবিরতির ব্যানার, শ্রমিকরা মাঝে মধ্যে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। বর্তমানে চালক এক ট্রিপে পান মাত্র ১২০০ টাকা, হেলপার ৬০০ টাকা ও সুপারভাইজার আরও কম। তারা দাবি তুলেছেন—চালকের বেতন ট্রিপপ্রতি ২ হাজার, হেলপারের ১ হাজার ও সুপারভাইজারের ১১০০ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি হোটেল ভাড়া ও খাবারের খরচ ভাতা হিসেবে দেওয়ার জন্য।

ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ১৭ বছর ধরে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। প্রতিবার মালিক পক্ষ আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছু হয় না। তাই এবার সব শ্রমিক একসঙ্গে আন্দোলনে নেমেছি।

শ্রমিক নেতা মো. সেলিম বলেন, ১৭ বছর ধরে বেতন বাড়েনি। প্রতিবার মালিক পক্ষ শুধু আশ্বাস দেয়, বাস্তবে কিছু হয় না। এবার দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। হয় বেতন বাড়বে না হয় গাড়ির চাকা গড়বে না।

রাজশাহী পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, আমরা বারবার মালিক পক্ষের সঙ্গে বসেছি। সর্বশেষ তারা আশ্বাস দিয়েছিল; কিন্তু সেটির বাস্তব প্রয়োগ না হয় শ্রমিকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছে।

তিনি বলেন, রাজশাহী ঢাকাকে আমি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে একতা পরিবহন চালু রয়েছে। আমরা বলেছি কেউ যদি স্বেচ্ছায় গাড়ি চালাতে চায় তাকে বাধা দেওয়া যাবে না। শ্রমিকটা শ্রমিকদের আন্দোলন করবে। তাদের দাবিতে পূরণ হলে তবেই গাড়ি চালাচ্ছ শুরু হবে।

এদিকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বিকল্প পরিবহনের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে একতা পরিবহন ও কিছু লোকাল বাস চলায় সেখানে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ট্রেনের টিকিট মিলছেও না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।

ঢাকাগামী যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, টিকিট আগে কেটে রেখেছিলাম; কিন্তু এসে দেখি কাউন্টার বন্ধ। জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হবে, অথচ কোনো উপায় নেই। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

আরেক যাত্রী নাসরিন আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন ঘুরেও টিকিট পাইনি। শিশু সন্তান নিয়ে পথে পথে হয়রানি পোহাচ্ছি। এভাবে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা ঠিক নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুপার টাইফুনের কারণে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

নিউইয়র্কে রাজনীতিবিদদের ওপর হামলার ঘটনার জামায়াতের প্রতিক্রিয়া

সত্যিই কি রুটি খেলে ওজন কমে? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

আজ হারলেও যেভাবে ফাইনাল খেলতে পারবে পাকিস্তান

ছেলে ব্যালন ডি’অর না জেতায় ইয়ামালের বাবার ক্ষোভ

বিতর্কে জড়ালেন সাই পল্লবী

কাউকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি : রিজভী

দুর্গাপূজার সাজ / উৎসবে শাড়ি পরা কঠিন মনে হচ্ছে? এই ৫ ধাপে হয়ে উঠুন একদম পারফেক্ট!

বিপিএল : টাকা পরিশোধ না করা ১৮ দলের নাম প্রকাশ করল বিসিবি

ঘরে ঢুকে প্রবাসফেরত নারীকে হত্যা

১০

অন্তঃসত্ত্বা  স্ত্রীকে খেতে দেননি কুমার শানু

১১

ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চায় পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা

১২

৯০ বছর বেদখলে থাকা জমি বুঝে পেল মুকসুদপুর থানা

১৩

আখতারের ওপর হামলার ঘটনায় এনসিপির নতুন কর্মসূচি

১৪

আদালত থেকে পালাল জোড়া খুনের আসামি, তদন্তে কমিটি 

১৫

যুক্তরাষ্ট্রে আখতারের ওপর হামলার ঘটনায় সারজিসের স্ট্যাটাস

১৬

বিশ্বকে বদলাতে তরুণদের ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৭

দেম্বেলের ব্যালন ডি’অর জয়ের পর যা বললেন মেসি

১৮

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার আহ্বান স্পেনের

১৯

যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানেই মাইর : হামিম

২০
X