সাতক্ষীরায় পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি মামলার আসামিকে মতবিনিময় সভায় রেখে বৈঠক করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৫ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানায় পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি মামলাটি নথিভূক্ত হয়। মামলায় তিন নম্বর আসামি হিসেবে আছেন এসকে কামরুল হাসান অরফে চটা কামরুল।
জানা গেছে, শিশু, কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার শীর্ষক সভা আয়োজন করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা জাহারুল ইসলাম। সেখানে এজাহারনামীয় ওই আসামিকে ডাকেন তথ্য কর্মকর্তা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া সহকারি পরিচালক মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া মোবাইল কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক।
ঘটনার বিষয়ে জেলা তথ্য কর্মকর্তা জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এসকে কামরুল হাসান বিতর্কিত, চাঁদাবাজি, পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহারনামীয় আসামি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানা থাকলে অবশ্যই তাকে রাখা হতো না। এটা ভুল হয়েছে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সরোয়ার হোসেন জানান, সদর থানার একটি চাঁদাবাজি, পর্নোগ্রাফি মামলার তিন নম্বর আসামি কামরুল হাসান। আদালত থেকে জামিন নিয়েছে এমন কোনো কাগজপত্র আমি পাইনি।
তবে আসামি প্রকাশ্যে কীভাবে ঘুরছে এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
মতবিনিময় সভা শেষে ঘটনাটি পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘মামলার আসামি এখানে রয়েছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলব।’
মন্তব্য করুন