ভোলার লালমোহনে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় তৎকালীন লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি। তখন ভোলা জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি দ্বিতল ভবনে পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনের পর একজন লাইব্রেরিয়ানও নিয়োগ দেওয়া হয়।
শুরু হওয়ার পর কয়েক মাস লাইব্রেরির কার্যক্রম ভালোভাবেই চালু ছিল। এলাকার লোকজন নিয়মিত সেখানে বই ও পত্রিকা পড়ত। কিন্তু ১৯৯৩ সালে এখানে লালমোহন মহিলা কলেজের কার্যক্রম চালু করা হয়। তারপর থেকেই লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে জেলা পরিষদ থেকে লাইব্রেরিয়ান বিনা কাজে নিয়মিত বেতন ভোগ করে অবসরে গেছেন।
২০১৮ সালে নিজস্ব ভবন তৈরি হওয়ার পর লালমোহন করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি ভবন ছেড়ে নিজস্ব ভবনে চলে যায়। সেই থেকে লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরির ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় লাইব্রেরি ভবন ও আশপাশের এলাকায় আবর্জনা জমে গেছে।
এ বিষয়ে বহুবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচার হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এ মাসে একটি সাহায্যকারী ক্লাব অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম ফের শুরু করার লক্ষ্যে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সহায়তা কামনা করে। কিন্তু এখনো চালু হয়নি পাবলিক লাইব্রেরিটি।
লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি চালুর বিষয়ে ইউএনও মো. শাহ আজিজ কালবেলাকে বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শিগগির এই টাকা দিয়ে বই কেনা হবে। এ ছাড়া লাইব্রেরি কক্ষটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ বসার জন্য টেবিল ও চেয়ার কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইব্রেরির জন্য এলাকার চাহিদা অনুযায়ী বই কেনার বিষয়ে কেউ পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন