সাভারে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করতে সরাসরি মাঠে নেমেছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল আহসান রাশেদ।
শারদীয় উৎসবের এ সময়ে তিনি ঢাকা-১৯ আসনের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাভারের পঞ্চবটি আশ্রমসহ একাধিক পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পুরোহিত, পূজা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং পূজার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
রাশেদুল আহসান বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আর্থিক অনুদানও প্রদান করেন। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে তিনি নিজেই বিভিন্ন মণ্ডপের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর দিয়ে রাখেন এবং যে কোনো প্রয়োজনে সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় ও পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতারা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগকে ইতিবাচক ও স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, রাজনৈতিক দলের সক্রিয় উপস্থিতি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।
এ বিষয়ে রাশেদুল আহসান রাশেদ বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এটি আসলে আমাদের সামগ্রিক সামাজিক সংস্কৃতিরই একটি অংশ। এ উৎসবকে ঘিরে আমরা সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করি। তাই আমি মনে করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই চেতনা থেকেই আমরা পূজামণ্ডপে এসেছি। এখানে কোনো ভয়-ভীতি বা শঙ্কা নয়, বরং সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও আনন্দ-উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সব সময় দেশের মানুষের পাশে থেকেছে, আগামীতেও থাকবে। পূজা হোক বা ঈদ—প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবে আমরা চাই মানুষ নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করুক। কোনো ধরনের অপশক্তি বা নাশকতা যদি কেউ ঘটাতে চায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিহত করব। আমরা চাই, এখানে যে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য আছে, সেটি আরও দৃঢ় হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিভিন্ন মন্দিরে গিয়েছি, পুরোহিত ও পূজা উদ্যাপন কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের সমস্যার খোঁজ নিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার নম্বর দিয়ে এসেছি, যেন যে কোনো প্রয়োজনে তারা সরাসরি আমাকে জানাতে পারেন। এ দেশ সবার, তাই এই উৎসবও তেমনই। আমরা চাই, শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হোক এবং প্রতিটি মানুষ উৎসবের আনন্দে শরিক হতে পারেন।’
মন্তব্য করুন