মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চা বাগান সর্দার রামবচন গোয়ালা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার মূল আসামি গোলাপ সতনামীকে আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন বলেন, গোলাপ সতনামী কুলাউড়া ক্লিবডন চা বাগানের একজন শ্রমিক ছিলেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০১৭ সালে তার চাকরি চলে যায়। এ চাকরি চলে যাওয়ার পেছনে চা শ্রমিক সর্দার রামবচন গোয়ালার হাত ছিল বলে গোলাপ সতনামীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল।
তিনি আরও বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আসামি তাকে মদ খাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং তাকে মোটরসাইকেলে রত্না চা বাগানে নিয়ে যান। সেখানে চন্দন নামে আরেক যুবক মিলে তারা মদপান করেন। এ সময় চাকরি পাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় সাগরনাল চা বাগানের ছড়ার পাশে তাকে নিয়ে গিয়ে কোদালের হাতল দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করেন। এতে তিনি মারা যান। হত্যার পর অপর আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে তার মরদেহ বাবুনালা ছড়ায় ফেলে দেয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ৩ অক্টোবর ভোরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গোলাপ সতনামীকে পুলিশ কামিনীগঞ্জ বাজার থেকে গ্রপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। গ্রেপ্তার গোলাপ সতনামীর কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত লাঠি, ভিকটিমের মোবাইল ফোন, জুতা, গামছা ও তার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী থানার ওসি মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ মিয়া।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রামবচন গোয়ালা বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। দুদিন পর জুড়ীর কাপনাপাহাড় চা বাগান এলাকায় বাবুনালা ছড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন