কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পুনর্গণনার মাধ্যমে জয়ী হলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফারুক আলম পান্না।
সোমবার (৬ অক্টোবর) কুষ্টিয়া নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের (জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত) রায়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের অ্যাডভোকেট ফারুক আলম পান্না এবং ঘোড়া প্রতীকের আব্দুল মান্নান রানা সমানসংখ্যক ৬ হাজার ১২৩টি করে ভোট পান।
সমান ভোট পাওয়ায় ওই দিন রাত ১টার দিকে তৎকালীন জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু আনছার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৪১ (৬) মোতাবেক দুজন প্রার্থীর মধ্যে লটারি করেন। লটারিতে ঘোড়া প্রতীকের আবদুল মান্নান বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এ সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে পরদিন ১০ মার্চ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফারুক আলম পান্না পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান এবং ওই সালের ৮ এপ্রিল আদালতে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট পুনরায় ভোট গণনার সিদ্ধান্ত দেন।
জানা গেছে, সোমবার নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল খোলা জায়গায় সবার সামনে ভোট গণনা করে অ্যাডভোকেট পান্নাকে ২১৪ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে মোট পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অধিকাংশ প্রার্থীরই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল, যদিও বর্তমানে তাদের দলীয় কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ওই সময় মোট ২৫ হাজার ৮৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৮১৩টি ভোট বৈধ হিসেবে গণ্য হয় এবং বাতিল হয় ১১৩টি ভোট।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাডভোকেট ফারুক আলম পান্না কালবেলাকে বলেন, ‘আমাকে লটারির মাধ্যমে চক্রান্ত করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম এবং আজ সত্যের জয় হয়েছে।’
মন্তব্য করুন