ছোট্ট একটি চায়ের দোকান চালাতেন রনি। টানাটানির সংসারে কিছুটা সচ্ছলতা আনতে দুই বছর আগে ধার করে ওমানে যান। তবে ঋণ পুরোপুরি শোধ করার আগেই মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেকটা দিশেহারা পরিবার। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। লাশ দ্রুত দেশে ফেরত আনার পাশাপাশি পুনর্বাসনের দাবি তাদের।
বুধবার (৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ওমানের দুখুম সিদরা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় রনি মোট আট বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে সাতজনই সন্দ্বীপ উপজেলার। তারা সাগরে মাছ ধরার কাজ করতেন। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান গাড়ির চালক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মোশাররফ হোসেন রনির বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলার পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডে। তারা পাঁচ ভাই ও চার বোন। রনি আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন। একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ ওসমান গণির বয়স দেড় বছর। দুই মাসের ছুটি কাটিয়ে ১ মাস ২১ দিন আগে ওমানে ফিরেছিলেন তিনি।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছেন বাবা৷ বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা। চিকিৎসক জানিয়েছেন স্ট্রোক করার ঝুঁকিতে আছেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন রনির ভাই মোহাম্মদ জুয়েল কালবেলাকে বলেন, আমার ভাই বাড়িতে একটা চায়ের দোকান চালাত। দুই বছর আগে ঋণ করে ওমান যায়। এখনো পুরোপুরি টাকা শোধ হয়নি। আরও কিছু বাকি আছে। তার আগেই আমার ভাই দুনিয়া থেকে চলে গেল।
মোহাম্মদ জুয়েল আরও বলেন, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাবা ও স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছে। পরিবারের সবার খোঁজখবর নিয়েছে।
লাশ দ্রুত দেশে আনার আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সব স্বপ্নই শেষ। আমরা ভাইয়ের লাশটা দেখতে চাই। সরকারের কাছে আবেদন যেন অতিদ্রুত আমার ভাইয়ের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি পরিবারকে যেন পুনর্বাসন করে।
মন্তব্য করুন