দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও’ স্লোগানে নীলফামারীর সীমান্ত উপজেলা ডিমলায় ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারী জেলা বিএনপির উদ্যোগে ও তিস্তা বাঁচাও কমিটির আহ্বানে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলার নেতারা তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে জাতীয় অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেতারা সুলতানা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা কেবল একটি নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নয়, এটি কোটি মানুষের জীবিকার নিরাপত্তা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই— এই প্রকল্পকে জাতীয় অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। তিস্তা বাঁচলে কৃষক বাঁচবে, নদীভাঙন থামবে, পর্যটন ও কৃষিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার এই করুণ দশা আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বুঝতে হবে এটি কোনো আঞ্চলিক বা রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। সরকার দ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করুক।
জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম রব্বানী প্রধান বলেন, তিস্তার সমস্যা নিরসনে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে চাপ সৃষ্টি করতে পারলেই তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায় সম্ভব। মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা পাড়ের মানুষ গণমিছিল করেছে। এ সময় তিস্তাপাড়ের সর্বস্তরের মানুষজন গণমিছিলে অংশগ্রহণ করে।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে গণমিছিলটি উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাতীবান্ধা সহর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শেষ হয়।
সেখানে সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, সদস্য সচিব আফজাল হোসেন মিয়া প্রমুখ গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন