ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে এক বাসের ধাক্কায় অপর আরেকটি বাস উল্টে খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ভাঙ্গা উপজেলার পূর্বসদরদী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ওই নারী বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রথপুর গ্রামের এসআই নজরুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম (৪০)। এসআই নজরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস এলাকায় কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পাশাপাশি সিটে বসে বাড়ি ফিরছিলেন।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুজ্জামান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী ইউরো পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসকে ওভারটেক করার সময় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইউরো পরিবহনের বাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে শামসুন্নাহার বেগম নামের ওই নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন : বরিশালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে ৩৫, আক্রান্ত সাড়ে ১৫ হাজার
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙ্গা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চিকিৎসকরা গুরুতর আহত পাঁচজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— নুরু চাকলাদার (৬৫), জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪২), ইসলাম বিশ্বাস (৬৫), হাছান (৩০), হান্নান (৬২), মারিয়া (১৫), মনির গাজী (৪৫) ও রাবেয়া (৮)। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাকিবুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, পেছন থেকে এক বাসের ধাক্কায় অন্য বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘাতক বাস শ্যামলী পরিবহনকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন