মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদ হোসেন খান। ছবি : কালবেলা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদ হোসেন খান। ছবি : কালবেলা

মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি (১৫) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আসামি এর আগে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে ২০১১ সালে মুক্তি পান।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির মরদেহ শনাক্ত করেন এবং তার মেয়ে দীপ্তির মরদেহ বলে জানান।

পরে মজিবর ফকির বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে র‌্যাব-৮’র সদস্যরা। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে, ইজিবাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খান দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

নিহত দীপ্তি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে। তিনি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

র‌্যাবের তদন্তে জানা যায়, সাজ্জাদ হোসেন পূর্বে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এবং ২০১১ সালে মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই বৃষ্টির দিনে জেলা শহরের ইটেরপুল থেকে চরমুগরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে দীপ্তি তার ইজিবাইকে ওঠেন। এ সময় অন্যকোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে দীপ্তিকে জোর করে পূর্ব খাগদি এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পরে মরদেহ বিদ্যুতের তার দিয়ে বেঁধে কয়েকটি ইটসহ পুকুরে ফেলে দেন। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।

দীপ্তির বাবা মজিবর ফকির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারী আজ আইনের কাছে জবাবদিহি করেছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।

মামলার পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, মামলায় একমাত্র আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। দীর্ঘ ছয় বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির নতুন প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হয়েছে কি না, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেহেদি উৎসবের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ইবি ছাত্রীসংস্থা

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম

বিরল খনিজ / চীনকে মোকাবিলায় একজোট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ্যে গৃহবধূর কানের দুল ছিনতাই, ফুটেজ ভাইরাল

আইইউবিএটির প্রাক্তন প্রো-ভিসি ড. হামিদা আখতার মারা গেছেন

ইয়েমেনের জুকার দ্বীপে ‘রহস্যময় বিমান ঘাঁটি’, পেছনে কারা?

ঢাবির সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে পানির ফিল্টার দিলেন ছাত্রদল নেতা তারিক

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি নাগরিকের ওপর হামলা, দুই ছিনতাইকারী আটক

১০

ইউআইটিএস আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ উদ্বোধন

১১

প্রতিবেদন দাখিল নিয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাল বেতন কমিশন

১২

দিনদুপুরে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

১৩

ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ও এনআইএলজির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

১৪

যমুনায় বিএনপির ৩ নেতা

১৫

৮৪ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করল এলডিপি

১৬

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২৫০ ছাড়াল

১৭

দুই ভাইকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

১৮

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চাই : মাসুদ সাঈদী

১৯

প্রতারণার অভিযোগে মুখ খুললেন তানজিন তিশা

২০
X