

দূর থেকে দেখলে মনে হবে, যেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার গোমতী নদীর চর লাল চাদরে ঢাকা রয়েছে। এই লাল চাদর আসলে চরের জমিতে চাষ করা লালশাক। শীতকালীন শাকসবজি হিসেবে এই লালশাক চাষ করেছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। আগাম লালশাকে তারা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
সরেজমিন গোমতীর চরাঞ্চলে দেখা গেছে, কৃষকরা ফসলের পরিচর্যা করছেন। কেউ জমি থেকে আগাছা পরিষ্কার করছেন। কেউ কেউ জমিতে সেচ দিচ্ছেন। কেউ জমিতে ছিটাচ্ছেন বালাইনাশক। বৃষ্টিপাত না থাকার কারণে জমিতে কেউ কেউ সেচ দিচ্ছেন। এ ছাড়াও গোমতী চরে আবাদ করা হয়েছে ধনেপাতা, পুঁইশাক, লাউ, মুলা, খিরা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, পালংশাক, ডাটাসহ নানা জাতের আগাম শীতকালীন সবজি। কৃষকদের পদচারণায় মুখর গোমতী চর।
চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, প্রতিবছর গোমতী নদীর চরে আগাম শাকসবজির আবাদ করা হয়। মৌসুম শুরুর আগেই এসব শাকসবজি বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্যই চরে আগাম শাকসবজির আবাদ করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও গোমতী চরে নানা জাতের শাকসবজি আবাদ করা হয়েছে।
গোমতী চরের কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, চরে আমার ২৬ শতক জমি রয়েছে। এই জমিতে লালশাক, মুলা, ধনেপাতা, টমেটো ও ফুলকপি চাষ করেছি। মুলা ও ফুলকপি সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। লালশাক জমিতে বড় হয়ে উঠছে আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যে লালশাক বিক্রি উপযোগী হবে। আশা করছি মুলা ও ফুলকপির মতো লালশাকেও এবার লাভবান হবো।
মনু মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, এবার লালশাক চাষ করেছি ১২ শতক জমিতে। লালশাক বড় হয়ে উঠছে। কিছুদিন গেলেই বিক্রয় উপযোগী হবে। লালশাক ছাড়াও চরে অন্যান্য সবজি আবাদ করা হয়েছে। কিছু কিছু সবজি বাজারজাত করা হচ্ছে। আশা করছি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার আগাম সবজিতে লাভবান হবো।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, গোমতীর চরে প্রতিবছরই কৃষকরা আগাম শাক সবজির আবাদ করে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কৃষকরা ইতোমধ্যে কিছু কিছু শাক সবজি বাজারজাত করছেন। লাল শাক এখনো বিক্রম উপযোগী না হলেও আশা করছি ফলন ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের কৃষি কাজে আগ্রহী করতে ও কৃষি পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।
মন্তব্য করুন