

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দৈনিক উৎপন্ন বর্জ্যই এবার জ্বালানির নতুন উৎসে রূপ নিতে যাচ্ছে। নগরীর ৩ হাজার টন বর্জ্য থেকে বছরে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন গ্যালন গ্রিন ডিজেল ও গ্রিন অ্যাভিয়েশন ফুয়েল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) নগরভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান—ব্রিনগিয়া এনার্জি গ্লোবাল এলএলসি (বিইজি) ও ডিরাপটেড হাইড্রোজেন টেকনোলজির (ডিএইচটি) মধ্যে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়।
চসিকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, আর বিইজি ও ডিএইচটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠান দুটির প্রেসিডেন্ট জিয়াউর আর চৌধুরী।
চসিক কর্মকর্তাদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হবে, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে এটি হবে দেশের জন্য এক বড় অগ্রগতি।
সমঝোতা অনুষ্ঠানে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে টেকসই ও লাভজনক করতে এই উদ্যোগ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্জ্য আর বোঝা নয়—বরং সম্পদে রূপ নেবে। দেশের জ্বালানি খাতে এটি খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।
বিইজি ও ডিএইচটির প্রেসিডেন্ট জিয়াউর আর চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্প এশিয়ায় প্রথম ধরনের উদ্যোগ। আমরা সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত এর কাজ শুরু করব। চট্টগ্রাম দক্ষিণ এশিয়ায় গ্রীন এনার্জির মডেল শহর হিসেবে পরিচিতি পেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, বিইজি ও ডিএইচটির কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর এডভোকেট আরিফ মঈন উদ্দীন রেজা, চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন