

সাভারে বিশ্বাস বিল্ডার্সের জমি জোরপূর্বক দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমিদস্যু আব্দুল জব্বার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে বিশ্বাস বিল্ডার্সের পক্ষে সাভার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, সাভার থানাধীন দেউল মৌজার আরএস ৩৭ নং দাগের মোট ৮৫ শতক জমি দলিলমূলে কিনে বিশ্বাস বিল্ডার্স বহু বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি আসামি আ. জব্বার, তার ছেলে কামরুজ্জামান বাপ্পী ও সহযোগীরা জোরপূর্বক প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমিটি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেডের দখলে ও মালিকানায় রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জমিটি আগে আ. জব্বার পিতা আ. মজিদ, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আ. কুদ্দুস গং-এর কাছ থেকে মুজিবুল হক খান এবং জাহানারা আহাম্মেদ কেনেন। পরে তারা বৈধ প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেডের কাছে জমিটি বিক্রি করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দলিল সম্পাদনের পর বিক্রেতারা জমির পূর্ণ দখল ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে বুঝিয়ে দেন। এরপর বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেড উক্ত জমি উন্নয়ন করে প্লট আকারে ভাগ করে রাস্তা নির্মাণ, গাছপালা রোপণসহ নিয়মিতভাবে ভোগদখল করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, তারা বহু বছর ধরে আইনগতভাবে জমিটি ব্যবহার করছেন। তবুও সম্প্রতি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জমিটি দখলের পাঁয়তারা করছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘বিষয়টি জানাজানি হলে বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ওহাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে কাগজপত্রসহ আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন এবং ২৭ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে নির্দেশ অমান্য করে জব্বার ও তার বাহিনী রাতে পুনরায় অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণ করে। পরে সেই প্রাচীর নিজেরাই আবার ভেঙে ফেলে এবং বিশ্বাস বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে উল্টো থানায় অভিযোগ করে হয়রানি শুরু করে বলে দাবি করেন কোম্পানির কর্মকর্তারা।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, জব্বার ও তার সহযোগীরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমি দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নানা প্রকার বেআইনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে স্থানীয় অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না।
বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বৈধভাবে দলিলমূলে জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। অথচ ভূমিদস্যু জব্বার তার প্রভাববলয় ব্যবহার করে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন