

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত বিভাগের কমিশনার মিঞা মোহাম্মদ আলী আকবর আজিজী বলেছেন, প্রতিটি পরিবারের কর্তা কেমন ভালো থাকবেন, কতটুকু ইমানি দায়িত্ব পালন করবেন— সেটি নির্ভর করছে তার সহধর্মিণীর ওপর। তিনি (সহধর্মিণী) যদি সন্তুষ্ট হন, তাহলে ওই কর্তা তার সীমিত আয়ের মধ্যেই অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। এমনকি সামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে-শুনে রাখবেন। কিন্তু যদি তার সহধর্মিণী অসন্তুষ্ট হন, তাহলে সেটা সম্ভব নয়।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বিত জেলা দুদক কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দুদকের এ কমিশনার বলেন, যেখানে ন্যায়বিচারের ব্যত্যয় ঘটেছে, আরেকজন বিবেকবান মানুষের উচিত সেখানে বাধা দেওয়া। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেই দুর্নীতি শেখে না। সে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাকালীন ক্যান্টিনে খাবারের বিল কম দেওয়া বা না দিয়ে চলে আসছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে যোগদানের পর সেই খারাপ অভ্যাসটা কঠিন শিলার মতো হয়ে গেছে। কোনো বাণী, উপদেশ বা কোনো শাস্তিই তাকে দুর্নীতি থেকে প্রতিহত করতে পারবে না।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন ও দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসেন।
মন্তব্য করুন