

রাজশাহীর পবা উপজেলায় ধানের শীষের পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে মহিলা দলের দুই কর্মীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী নুরুল ইসলামের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
ভুক্তভোগী দুই বোন নিলুফা ইয়াসমিন ও তার বোন নূরবানু বেগম অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পবার আশরাফের মোড় এলাকায় জামায়াতকর্মী নুরুল ইসলাম তাদের ওপর শারীরিক হামলা চালান।
অভিযোগ অনুযায়ী, নুরুল ইসলাম প্রথমে স্যান্ডেল খুলে মারধর করেন, পরে দৌড়ে এসে নিলুফার পেটে লাথি মারেন। নিলুফার বোন নূরবানু ওই রাতেই কাটাখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল হক মিলন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদা হাবিবা, নগর বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটসহ স্থানীয় নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রফেসর আব্দুল রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার শেষে ফেরার সময় নুরুল ইসলাম দুই নারী কর্মীকে জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। তারা রাজি না হলে তিনি গালাগাল করেন এবং পরে হামলা চালান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আমি তাদের শুধু একবার ধাক্কা দিয়েছিলাম। বিষয়টি বড় কিছু নয়।’
এ বিষয়ে কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন কালবেলাকে জানান, জিডি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত অনুমতি দিলে তদন্ত শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন