

নেপালের বিপক্ষে জয়টা যেন হাতের মুঠোয় এসেও ফসকে গেল বাংলাদেশের। ৯৩তম মিনিট পর্যন্ত ২–১ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোল হজম করে জয় হারায় হাভিয়ের কাবরেরার দল। ফল—রোমাঞ্চকর ২–২ ড্র।
জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের দুই গোলই করেছেন হামজা চৌধুরী। ওভারহেড কিক আর দুর্দান্ত এক পানেনকা পেনাল্টিতে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু অনন্ত তামাংয়ের শেষ মুহূর্তের গোলে সব অর্জন ম্লান হয়ে যায়।
ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের জন্য। ২৯তম মিনিটে রোহিত চাঁদের নিচু শটে এগিয়ে যায় নেপাল। ১–০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফেরার পরই বদলে যায় চিত্র। ৪৬তম মিনিটে ফাহিমের ক্রস থেকে জামাল ভূঁইয়ার পাস পেয়ে চমৎকার এক ওভারহেড কিকে সমতায় ফেরান হামজা চৌধুরী। মিনিট দুয়েক পরই রাকিব হোসেন বক্সে ফাউল আদায় করলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। এবারও নির্ভুল হামজা—ঠাণ্ডা মাথায় পানেনকা শটে বল জালে পাঠিয়ে দলকে ২–১ এগিয়ে দেন।
এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতেই। কিন্তু যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে রক্ষণভাগের এক মুহূর্তের ভুলে সর্বনাশ। কর্নার থেকে আসা বলে অনন্ত তামাংয়ের পা ছুঁয়ে বল ঢুকে যায় জালে—সমতায় ফেরে নেপাল।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মুখে তখন হতাশার ছাপ, দর্শকদেরও একই অনুভূতি—হাতছাড়া হয়ে গেল নিশ্চিত জয়।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন হামজা চৌধুরী। তাঁকে বদলি হিসেবে নামানো হয় কিউবা মিচেলকে। হামজা মাঠ ছাড়ার পর বাংলাদেশের আক্রমণ ধার হারায়, রক্ষণেই ব্যস্ত থাকতে হয় বাকিদের।
এই ড্রয়ের পরও বাংলাদেশের জন্য কিছু ইতিবাচক দিক রয়ে গেছে—ফেরার ম্যাচেই জোড়া গোল, দলের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা, আর কিছু তরুণের আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স।
তবে হতাশার জায়গা একটাই—২০২০ সালের ১৩ নভেম্বরের পর নেপালের বিপক্ষে আর জয় পায়নি বাংলাদেশ। ঠিক পাঁচ বছর পর একই দিনে আবারও হারিয়ে গেল জয়ের হাসি।
মন্তব্য করুন