কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারোমাসিয়া নদীর ওপর স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো গত বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে তাদের। ফলে অর্থ ও সময় অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলমতি ওয়ার্ডের ইন্তুর ঘাট এলাকায় নির্মিত প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ বাশের সাঁকো দিয়ে ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীর তীরবর্তী প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের চলাচল। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়ত, গ্রামবাসীর হাটবাজার যাওয়া আসা, জরুরি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ, কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয়সহ সবকিছুতেই নির্ভর করতে হয় এই সাঁকোটির ওপর। কিন্তু গত বন্যায় পানির তোড়ে সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। বাধ্য হয়ে নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে তাদের।
ওই এলাকার নুর হোসেন (৬০), সাহার আলী (৪৫) ও মজিবর রহমান (৫৫) জানান, প্রতিবছর আমরা স্থানীয়ভাবে বাঁশ টাকা সংগ্রহ করে সাঁকোটি মেরামত করে চলাচল করি। কিন্তু এবছর বন্যায় বিরাট অংশ ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে মেরামত সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাঁকো মেরামতে ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
একই এলাকার খলিলুর রহমান বলেন, জমিতে ছিটানোর জন্য নৌকায় করে তিন বস্তা সার নিয়ে চরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ নৌকা থেকে সারের বস্তা নদীতে পরে সার নষ্ট হয়ে গেছে। সাঁকো থাকলে আমার এ ধরনের ক্ষতি হতো না।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, সাঁকো সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো বরাদ্দ নাই। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় সাঁকোটি মেরামত করা হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাঁকোটি মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন