

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অসীম ভালোবাসায় অকালপ্রয়াত কনটেন্ট ক্রিয়েটর দ্বীপঙ্কর দাস দ্বীপকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন আত্মীয়স্বজন-বন্ধু-অনুরাগী ও হাজারো মানুষ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে দ্বীপঙ্কর দাস দ্বীপের মরদেহ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার জন্মস্থান মন্ডল কাঁপন গ্রামে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী ও ভক্ত অনুরাগীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এরপর সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে নির্মিত বেদিতে মরদেহ রাখার পর সবার অনুরোধে দ্বীপের মুখ দেখতে কফিন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পরে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতারা ও পুটিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দ্বীপর মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপজেলার ২ নম্বর পুটিজুরী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মরতুজ আলী লিটন বলেন, দ্বীপ ছিলেন অসাধারণ একজন প্রতিভাধর কনটেন্ট ক্রিয়েটর। নিজে যেমন হাসতেন তেমনি লোকজনকে সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে হাসাতে ভালোবাসতেন। এত অল্পবয়সে দ্বীপ এত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল, আমরা বাহুবল বাসীর গর্ববোধ করি।
নবীগঞ্জ পৌরসভা সাবেক মেয়র মো. সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দ্বীপের নানার বাড়ি আমার এলাকায়, সে ছোট্ট থাকাকালীন সময় থেকে আমি চিনি, দ্বীপ বড়দের সম্মান এবং ছোটদের স্নেহ করত। সবার সঙ্গে তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। কোনো অহংকার ছিল না। আর তাই মাত্র ২১ বছর বয়সেই সে সবার হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকেও সমবেত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং দ্বীপের বিদেহীর আত্মার শান্তির জন্য সবার আশীর্বাদ চাওয়া হয়েছে। মরদেহ দাহ করার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং দ্বীপর বন্ধু-বান্ধব ও স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার স্মৃতিচারণ করেন।
এরপর দুপুর ১টার দিকে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বীপের মরদেহ গ্রহণ করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে মালয়েশিয়ায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্বীপকে কুয়ালালামপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে মারা যান তিনি।
দ্বীপ গত মাসে উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তারা ছিলেন মাত্র দুই ভাই। তিনি ছিলেন বড়।
মন্তব্য করুন