নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় চার নম্বর খগা খড়িবাড়ি, ৫ নম্বর গয়াবাড়ি ও ৯ নম্বর টেপা খরিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট ১৫০ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আজ রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকসহ শোডাউন করে সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে একত্রিত হতে থাকেন। পরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তারা তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত তিন ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৯৮ জনসহ মোট ১৫০ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
গত ৩১ মে উপজেলার এই তিন ইউনিয়নের নাম তালিকায় প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী এই তিন ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৮ জুন, মনোনয়ন যাচাইবাছাই ১৯ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৫ জুন। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে মোট ২৭টি ভোটকেন্দ্রের ১৬০টি কক্ষে (বুথ) আগামী ১৭ জুলাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীরা হলেন—খগা খড়িবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), মো. রবিউল ইসলাম লিথন (সাবেক চেয়ারম্যান), মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আনোয়ার হোসেন।
গয়াবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন সরকার (নৌকা), মো. শরিফ ইবনে ফায়সাল (মুন), মো. কামরুজ্জামান, মো. সামসুল হক (সাবেক চেয়ারম্যান), মো. আনওয়ারুল হক, মো. লুৎফর রহমান ও মো. রুকনুজ্জামান।
টেপা খরিবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম (নৌকা), মো. ময়নুল হক (সাবেক চেয়ারম্যান), মো. রবিউল ইসলাম (শাহীন), মো. হারুনুর রশিদ ও মো. আফছার আলী।
এই তিন ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজার ৪৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩৮০ জন ও নারী ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার ১১৭ জন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে সন্দেহ প্রকাশ করেন সাধারণ ভোটাররা তবে, শতভাগ অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও খগা খরিবাড়ি, গয়াবাড়ি এবং টেপা খরিবাড়ি ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস সরকার দৈনিক কালবেলাকে বলেন, মনোনয়নপত্র জমার সময় কোনো ধরনের শো-ডাউন করা যাবে না। সর্বোচ্চ পাঁচজন নিয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে তিনি জানান, এই বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধিতে। আচরণবিধি অনুযায়ী-প্রচারণা শুরু হবে প্রতীক বরাদ্দের পর। এর আগে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা শো-ডাউন করা যাবে না। স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারে সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ায়ও আচরণবিধিতে মানা রয়েছে।
মন্তব্য করুন