

বগুড়া-৭ আসনে (গাবতলী-শাজাহানপুর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মতিতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। লন্ডন থেকে এ বৈঠকে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
লালুর নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— গাবতলী থানা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টন ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, শাজাহানপুর থানা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ, গাবতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম, গাবতলী পৌর বিএনপির সভাপতি কায়দুজ্জোহা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পিন্টু, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, শাজাহানপুর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল বাশার এবং থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল।
খালেদা জিয়ার নির্বাচন পরিচালনার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে নবগঠিত এ কমিটির প্রথম সভা ডাকা হয়েছে আগামীকাল শনিবার। কমিটির সমন্বয়ক হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বগুড়ার বাগবাড়ীতে খালেদা জিয়ার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় গাবতলী ও শাজাহানপুর থানাসহ জেলা, থানা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের ১১ শীর্ষ নেতাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, চলতি মাসের ৫ নভেম্বর ঢাকার গুলশানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথম সভা আহ্বানের কারণে শুক্রবার কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। সভায় খালেদা জিয়ার নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের আশা, এই কমিটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সাংগঠনিক প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করবে এবং খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ক্যাম্পে কাঙ্ক্ষিত গতি এনে দেবে।
এবার একযোগে তিনটি আসনে প্রার্থিতার মধ্য দিয়ে দেড় যুগেরও বেশি সময় পর ভোটের মাঠে ফিরছেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের পর তিনি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। এবার বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় তার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন।
১৯৯১ সালে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতে বিজয়ী হন খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও পাঁচটি করে আসনে বিজয়ী হন তিনি। ২০০৮ সালে তিনটি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। খালেদা জিয়ার নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।
মন্তব্য করুন