

নরসিংদীর শীলমান্দিতে তুলা ও সুতার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
কারখানা ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে কারখানার একটি তুলার গোডাউনে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায় শ্রমিকরা। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোডাউনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তুলা ও সুতা থাকায় আগুন দ্রুত ভয়াবহ রূপ নেয়।
এ অবস্থায় কারখানার নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পাশাপাশি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে প্রথমে নরসিংদী, মাধবদী ও পলাশের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে নারায়ণগঞ্জের একটি টিমসহ ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করে।
আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল, দমকলকর্মীদের পাশাপাশি মিলের শ্রমিক ও স্থানীয়রাও পানি ঢেলে আগুন ঠেকানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করে ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল থেকে ৫টি ইউনিট তুলার গোডাউনের ডাম্পিং আগুন নির্বাপণের জন্য কাজ করে। দুপুর ১টায় পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে ফায়ার সার্ভিস।
সরেজমিনে সকালে মিলটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই মিলের সুতার গোডাউন। রাতের আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ডাম্পিংয়ের কাজ করছেন। মাঝে মাঝে সুতার ও তুলার বস্তা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সেটি পানি দিয়ে নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
একই অবস্থা দুই ও তিন নম্বরের গোডাউনের। পাশের গোডাউনগুলো থেকে শ্রমিকরা মালামাল সরিয়ে নিয়ে ক্ষতি কিছুটা কমানোর চেষ্টা করছে। এই আগুনে শ্রমিকদের একটি আবাসস্থল ও মিলের গাড়ি পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নাজুমুজ্জামান জানান, রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে একে একে আমাদের ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় ভোর ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে দুপুর ১টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানায় থাকা দুটি গোডাউনে সুতা এবং একটি গোডাউনে তুলায় আগুন লাগার কারণে বাতাসের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্তের পরে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন