মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাঁধ ভেঙে পানির নিচে ৫০০ একর আমন ক্ষেত 

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে হাজিখালী খালের বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত। ছবি : কালবেলা 
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে হাজিখালী খালের বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত। ছবি : কালবেলা 

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ৪নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের হাজিখালী খালের বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে ৯টি গ্রামের প্রায় ৫০০ একর আমন ক্ষেত বিনষ্টের পথে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দ্রুত বাঁধ নির্মাণের জন্য ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষে আবেদন করেছে স্থানীয় প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সচেতন মহল।

লিখিত আবেদনে স্বাক্ষর করেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইউব খান, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি খন্দকার আতাহার উদ্দিন, ৪নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেনসহ অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পায়রা নদীর শাখা থেকে মেন্দিয়াবাদ ও হাজীখালী গ্রামের সংযোগস্থল থেকে উৎপত্তি হয়ে হাজীখালী খাল দেউলীর বেবেরদোন নদীতে পতিত হয়েছে। এর রয়েছে রানীপুর, বোয়ালিয়া, মুসুদাসহ অনেকগুলি শাখা খাল। হাজীখালী খালের উভয়প্রান্তে বাঁধ এবং একটি সুয়েজ দিয়ে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়ে শাখা খাল দিয়ে বিভিন্ন শস্যক্ষেতে যায়। যার ওপর ভিত্তি করে হাজীখালী, মেন্দিয়াবাদ, রানীপুর, সাতবাড়িয়া, দেউলী, লেমুয়া, চত্রা, চরখালী, গোলখালীসহ অনেক গ্রামের কৃষির সেচ ব্যবস্থা চলমান। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে পায়রা নদীর প্রান্তে খালের বাঁধ ভেঙে যায়। যার ফলে এই গ্রামগুলোর সমস্ত আমনের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিদিন জোয়ারের পানি উঠে আরও পানির স্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সমগ্র আমনের ক্ষেত নষ্টের পথে।

স্থানীয়রা জানান, আমন ধান শুকনো মৌসুমের উদ্ভিদ। পানির নিচে তলিয়ে থাকায় একটি ধান ঘরে উঠানো সম্ভব হবে না বলে আমাদের পথে বসতে হবে।

মাহাবুব নামের এক কৃষক জানান, আমাদের জীবিকা নির্বাহ এই আমন ধানের ওপর শতভাগ নির্ভর করে। তার ওপরে অনেকেরই মাথায় ঋণের বোঝা। খালে বাঁধ দেওয়া না হলে আমাদের সমগ্র ধান নষ্ট হয়ে যাবে। একটি ধান ঘরে তোলা যাবে না।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি ও স্থানীয় খন্দকার আতাহার উদ্দিন বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল মূলত এক সিজনাল আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল। ৫০০ একর জমির আমন ধান পানিতে নষ্ট হওয়ার ধকল সামলানো যাবে না। সমগ্র কৃষককে পথে বসতে হবে। ক্ষেতে পানি থাকলে ডাল, বাদাম, আলু, তরমুজ, সূর্যমুখী ফুলসহ কোনো রবি শস্য আবাদ করা সম্ভব হবে না। তাই আমরা ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বাঁধ নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। তিনি স্থানটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. মলিহা খানম বলেন, দ্রুত বাঁধ নির্মাণের একটি আবেদন পেয়েছি। স্থান পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচনের তপশিল চলতি সপ্তাহে : সিইসি

ইংল্যান্ডের দুর্দশা বাড়িয়ে অ্যাশেজ থেকে ছিটকে গেলেন তারকা পেসার 

ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে বিএনপি : রিজভী

নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, জরিপ যা বলছে

গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা 

ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ১০ দোকান

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির জরুরি নির্দেশনা

ব্রাকসু নির্বাচন / ‘বেরোবি শিক্ষার্থী পরিষদ’ নামে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা 

খালেদা জিয়ার দোয়া অনুষ্ঠান মঞ্চে দুর্বৃত্তদের আগুন

৭ লক্ষণে বুঝবেন একজন আলফা পুরুষ আপনাকে পছন্দ করে

১০

ইউক্রেন নিয়ে বিভক্ত ইউরোপ-আমেরিকা, কী করবেন ট্রাম্প?

১১

মেঘনা-গোমতী সেতুর নিচে মিলল বোমা সদৃশ বস্তু

১২

মার্চে চলবে পাবনা-ঢাকা ট্রেন : শেখ মঈনুদ্দিন 

১৩

অবৈধ ফোন বন্ধে অনড় সরকার 

১৪

হাত-পা বেঁধে খালে ফেলা কিশোরী ফিরে এলো, অতঃপর...

১৫

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকে সিইসি

১৬

আফগান সীমান্তে হামলায় পাকিস্তানের ছয় সেনা নিহত

১৭

তপশিল ঘোষণার তারিখ জানালেন ইসি মাছউদ

১৮

যে শর্ত না মানলে প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মকর্তারা বেতন পাবেন না

১৯

লুচি, কচুরি আর পুরির পার্থক্য জানেন তো

২০
X