

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে তালা লাগিয়ে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তারের (৮) মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দুই বোন সালমা আক্তার স্মৃতি ও সামিয়া আক্তার বীথি। তাদের বাবা বেলালও আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার আবু তারেক জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুর্বৃত্তায়ন ও মবের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর প্রমাণও মেলেনি। পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছে। এখনো মামলা করেনি তারা। ঘটনাটির তদন্ত চলমান রয়েছে।
এদিকে আজ রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বেলালের বাড়িতে আসার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি। তবে নির্দিষ্ট সময় জানাতে পারেনি কেউ।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রামের সুতারগোপ্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে স্মৃতির শরীরের ৮০ শতাংশ ও বিথির ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ বেলাল সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজ টিনশেডের বসতঘরে রাতে ঘুমানো ছিলেন বেলাল। হঠাৎ ঘরের চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে যায় পুরো ঘর। আগুনের তাপে ঘুম ভাঙে বেলাল ও তার স্ত্রীর। দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে দরজায় দেখেন বাইরে থেকে কেউ তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
এরপর ছোট দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে কোনো মতে ঘর থেকে বের হয়ে জীবন বাঁচান বেলাল। এ সময় দগ্ধ হন তিনি, এর আগেই ঘুমন্ত শিশু আয়েশা জেগে উঠে ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকলে পুড়ে ছাই হয়ে মৃত্যু বরণ করে। অপর দুই বোন স্মৃতি ও বিথি অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘর থেকে বের হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দগ্ধদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিথি ও স্মৃতিকে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। এর আগে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরো ঘর ও আসবাবপত্র।
মন্তব্য করুন