কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলায় গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর মা অজ্ঞাত দুজনসহ ছয়জনের নামে বৃহস্পতিবার দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা করেন।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিজের নাকফুল মেরামত করার জন্য গৌরীপুর বাজারে ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে স্বর্ণকারের দোকানে পাঠান ওই মা। নাকফুল মেরামত করে বাড়িতে আসার জন্য সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড হতে শহিদ নগরগামী লেগুনা গাড়িতে ওঠে। ওই গাড়ির ড্রাইভার আকাশ এবং যাত্রীবেশে সবুজ ও হৃদয় ছিল। শহিদনগর স্টেশনের একটু আগে সোনালি আঁশ নামক জুট মিলের পূর্ব দিকে রাস্তার পাশে গাড়িটি থামলে আকাশ এবং সবুজ ওই কিশোরীকে মুখ চেপে ও হাত পা ধরে লেগুনা গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। তখন রাস্তায় কোনো লোক ছিল না। পরে হৃদয় ও মেহেদীসহ আরও অজ্ঞাতনামা দুজন তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করে।
পরে ধর্ষণকারীরা এ ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে শহিদনগর ফুটওভার ব্রিজের নিচে আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে ফেলে যায়। প্রথমে ভয়ে সে কাউকে কিছু জানায় না। ঘটনার ৩ দিন পর তাদের এলাকার আনিস মেম্বারের মাধ্যমে মামুন নামে এক ব্যক্তির নিকট হতে ঘটনা জানার পর জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনা পরিবারকে বলে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন