চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল শনিবার বিকেলে পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কাপ্তাই সড়কসহ ও উপজেলার আনাচে-কানাচে নানা রঙের ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। দীর্ঘ ৭ বছর পর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করছে। গত এক মাস ধরে প্রার্থীদের প্রচারে সরব ছিল রাঙ্গুনিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গন। তারা ছুটে বেরিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে। প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন তারা। তবে যুবলীগের দায়িত্বভার কাদের ওপর ওঠবে সেটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে রাঙ্গুনিয়া সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকেই।
জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। উদ্বোধক উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল আলম এবং প্রধান বক্তা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান।
অতিথি হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সামশুদ্দোহা সিকদার আরজু।
যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল সর্বশেষ উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল। সেই কমিটতে সামশুদ্দোহা সিকদার আরজুকে সভাপতি ও মোহাম্মদ ইউনুচকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে মোহাম্মদ ইউনুচ সভাপতি পদে প্রার্থী হলেও অনুজদের নেতৃত্ব আসার জন্য জায়গা ছেড়ে দেন সামশুদ্দোহা সিকদার আরজু। এবারের সম্মেলনে সভাপতি-সম্পাদক হতে ইচ্ছুক অন্তত ২২ জন প্রার্থী নিজেদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন জেলা যুবলীগের দপ্তরে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৫ জন এবং বাকিরা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তবে এদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সভাপতি পদে উপজেলা যুবলীগের বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ এবং উপজেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক মোরশেদ তালুকদার।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী আলোচনায় আছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, শুভ শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাকিরুল আজম চৌধুরী মুরাদ, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা সুপায়ন সুশীল, উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. জমির উদ্দিন, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহেল, পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম বাবুলসহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন যুবলীগের একাধিক নেতা।
তৃণমূল যুবলীগের কাউন্সিলরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে, সরকার ও দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে যোগ্য নেতৃত্ব যেমন প্রয়োজন, পাশাপাশি মাদকমুক্ত ও সৃজনশীল কাজে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট করতে পারবেন এমন নেতৃত্বই আশা করেন তারা। যারা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিল এবং যারা দলের দায়িত্ব ফেলে বিদেশ চলে যাবে না। মূল্যবান দায়িত্ব অবহেলা করবে না। দক্ষ সংগঠক কর্মীবান্ধব তাদেরই এবারের সম্মেলনে মূল্যায়ন করার দাবি তৃণমূল নেতৃবৃন্দের।
মন্তব্য করুন