ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১০০ শিক্ষার্থীর ৪১ জনই ভুয়া

সুলতান আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
সুলতান আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সুলতান আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় থাকে শতভাগ উপস্থিত। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিত দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।

এই বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতা অনুযায়ী ১০০ শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে ৪১ জনই ভুয়া শিক্ষার্থী। এরা সবাই পাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। বিদ্যালয়টির প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ জন অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হলেও এ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির হাজিরা খাতায় প্রতিনিয়ত উপস্থিতি দেখিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভুয়া শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে তুলা হচ্ছে উপবৃত্তির টাকাও।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় দেখা যায়, প্রতিদিন শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণির হাজিরা খাতায় ১৩ জনের নাম থাকলেও উপস্থিত ছিল ২ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির হাজিরা খাতায় ১৫ জনের নাম থাকলেও উপস্থিত ছিল ১ জন, তৃতীয় শ্রেণির হাজিরা খাতায় ২০ জনের নাম থাকলেও উপস্থিত ছিল ৬ জন, চতুর্থ শ্রেণির হাজিরা খাতায় ২০ জনের নাম থাকলেও উপস্থিত ছিল ১৪ জন, পঞ্চম শ্রেণির হাজিরা খাতায় ২২ জনের নাম থাকলেও উপস্থিত ছিল ৩ জন।

বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুর রহমান। এ সময় তাদের তদন্তে ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী ভুয়া বিষয়টি প্রমাণ মিলেছে। সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুর রহমান ভুয়া শিক্ষার্থীদের নাম হাজিরা খাতা থেকে কেটে দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সুলতান আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ শিক্ষার্থীর ৪১ জনই ভুয়া শিক্ষার্থী। হাজিরা খাতা থেকে ভুয়া শিক্ষার্থীর নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর না করতে প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছে।

ভুয়া শিক্ষার্থীসহ সব শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় সব শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র রায় বারবার বলেন, আমার ভুল হয়েছে। এ ধরনের কাজ আর করব না। আমাদের ৫৪ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পেয়েছে। কোনো উদ্দেশে এ রকম করি নাই। আগে থেকেই এভাবে হচ্ছে। করোনার সময় অনেক শিক্ষার্থী পাশের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যায়। এরপর হাজিরা খাতা থেকে আর নাম কাটা হয়নি। এ রকম ভুল ভবিষ্যতে আর কখনোই করব না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, সোনাগাজীর কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া শিক্ষার্থীর বিষয়টি আমি জেনেছি। ইতোমধ্যে এ রকম একটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এ বিদ্যালয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করব। কোনো বিদ্যালয়ে ভুয়া শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গভীর রাতে সাংবাদিক সোহেলকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি

বাংলাদেশের কাছে হারের পর যা বললেন ভারতের কোচ

ভারতের বিপক্ষে জয় ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তের একটি : হামজা চৌধুরী

হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে চিঠি দিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রাজধানীতে রাতে গাড়িতে আগুন

পিপি কার্যালয়ের সামনে পটকা ফুটিয়ে ভীতির চেষ্টা

গভীর রাতে রাজধানীতে মার্কেটে আগুন

বাংলাদেশ দলকে জামায়াত আমিরের অভিনন্দন

টানা ২ দফায় স্বর্ণের দাম কত কমলো দাম?

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে বন্ধ হচ্ছে ৫ সেবা

১০

পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ঝালকাঠির শিশু রাইসার পাশে তারেক রহমান

১১

ভারতকে হারিয়ে হামজাদের জন্য ২ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক বোনাস

১২

২২ বছর পর বাংলাদেশের ভারত বধে তারেক রহমানের অভিনন্দন

১৩

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু

১৪

তারেকের দল নিয়ে যে তথ্য দিল ইসি

১৫

জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি : ফারুক

১৬

কালবেলা-এসএমসি ডায়াপার গোলটেবিল বৈঠক / সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব শিশুর নিউমোনিয়া প্রতিরোধ

১৭

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে ব্রাজিল

১৮

বিরল রোগে আক্রান্ত ‘দঙ্গল’ অভিনেত্রী ফাতিমা

১৯

যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়ার জানাজায় মানুষের ঢল

২০
X