গাজীপুরের কাশিমপুর ও বাসন এলাকায় আলাদাভাবে অভিযান চালিয়ে ডাকাত ও চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চোরাই চারটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রুহুল আমিন (৩৮), শ্যাম খান ওরফে শরীফ ওরফে ফারুক (৩০), আবুল সাঈদ (৩৫), মাহমুদুল হাসান রুবেল (৩১), সোহেল মিয়া ওরফে নাক কাটা সোহেল (৪০) ও সজিব আহাম্মদ (২৬)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার বলেন, গত ৩১ সেপ্টেম্বর রাতে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার বাসিন্দা দুলাল উদ্দিন তার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল বাছেদ এবং ভগ্নিপতি সোলায়মানকে সদর থানার আদাবৈ পেয়ারা বাগান এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর মালামাল কেনার জন্য যান। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছলে ১৪/১৫ জন ডাকাত দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাড়িটির গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বাউন্ডারি ঘেরা একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাকাতরা তাদেরকে মারধর করে নগদ ১৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন দুলাল উদ্দিন সদর থানার মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, মামলার ১০ ঘন্টা পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রুহুল আমিনকে কালিগঞ্জ থানার নরুন বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে শ্যামল খান ওরফে শরীফ ওরফে ফারুক, আবুল সাঈদ ও মাহমুদুল হাসান রুবেলকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যোগীতলার সুইচ ফ্যাক্টরীর মোড় থেকে সোহেল মিয়া ওরফে নাক কাটা সোহেল ও সজিব আহম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে চোরাই চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তারা নিজেদের হেফাজতে রেখে বিক্রি করে। বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন