বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় খুকী বেগম (৬০) নামের এক নারীর বস্তাবন্দি অর্ধগলিত খণ্ডিত লাশ উদ্ধার হওয়ার প্রায় ২মাস পর একটি পা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ৪ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া বটতলা তালপুকুর পাড়া গ্রামে একটি পুকুরের পাশ থেকে খুকি বেগমের (৬০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় খণ্ডিত শরীরের অন্য অংশগুলো পাওয়া গেলেও একটি পা পাওয়া যায় না।
আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুকুরের পাশে মুন্না বেওয়ার (৭৫) বাড়ির টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকির ভিতর থেকে লাশের একটি পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মুন্না বেওয়াকে হেফাজতে নিয়েছেন।
নিহত খুকী বেগম ওই এলাকার খোরশেদ আলম এর স্ত্রী। হত্যার ঘটনায় ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
নিহতের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী জাহিদুল জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পুকুরের পাশে মুন্না বেওয়ার বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকির ঢাকনা সিমেন্ট দিয়ে লাগানো ছিল না। পলিথিন এবং বস্তা দেওয়া ছিল। এতে সন্দেহ হলে পুলিশ ঢাকনা খুলে আমার মায়ের পা দেখতে পান।
তিনি বলেন, আমার মাকে কারা হত্যা করে লাশ টুকরো করে বস্তায় ভরে ফেলে গেছে তা আমরা জানি না। একটু সময় পেলেই আমার মা মুন্না বেওয়ার বাড়িতে যেতেন। তাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ভালো।
এর আগে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাহিদুল বলেছিলেন, প্রায় ১০ বছর আগে আমাদের সৎ ভাই বিপুল (১৩)কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের উপজেলায় হত্যাকরে লাশ রেল লাইনের পাশে ফেলে রেখে গিয়েছিল খুনিরা।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত খুকী বেগমের আরও একটি পা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুন্না বেওয়াকে থানায় আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন