কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ফকির মুরং ঝরনা আকৃষ্ট করছে পর্যটকদের

ফকির মুরং ঝরনা। ছবি : কালবেলা
ফকির মুরং ঝরনা। ছবি : কালবেলা

ফকির মুরং ঝরনার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভ্রমন পিপাসুদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৫ নম্বর ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলী ওপর পাড়ায় এর অবস্থান। ঝরনা থেকে অবিরাম ধারায় পানির প্রবাহমান ধারা, পাখির কিচিরমিচির শব্দ এবং পাহাড়, বন বেষ্টিত এই ফকির মুরং ঝরনা যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি। বিশেষ করে বর্ষায় নবরূপে প্রাণ ফিরেছে এই ঝরনার।

স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক সূর্য্যসেন তনচংগ্যা বলেন, ‘আমরা দাদুদের মুখ থেকে শুনেছি, আজ থেকে শত বছর আগে এই পাহাড়ে এক সাধক বা ফকির ধ্যান করতেন। লোকজন পুজা দিতো। মানত করতো। ফকির ধ্যান করতেন বলে স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে ফকির মুরং বা ফকির কুয়া বা ফইরা মুরং ঝরনা।’

ঘাঘড়া বড়ইছড়ি সড়কের বটতলি এলাকার পূর্ব পাশ ধরে তিন কিলোমিটার পাহাড়ি পথ আর ছড়া পার হয়ে এ স্থানে পৌঁছাতে হয়। আশপাশে তনচংগ্যা পরিবারের বসবাস। পথে পাগলিমুখ পাড়া, পাগলি মধ্যম পাড়া গ্রাম পার হয়ে পাগলি ওপর পাড়ায় গেলে এ ঝরনার দেখা মিলবে। এই স্থানে যেতে যেতে পর্যটকরা আরও উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় থেকে বয়ে চলা ছড়ার পানির বহমান ধারা। আশপাশে অনেকগুলো পাহাড়ি গাছ-গাছালি এবং ছোট ছোট ঘর।

শনিবার (৭ অক্টোবর) ঝরনা দেখতে আসা ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমতিয়াজ, নাসরিন বেগম দম্পতিসহ বেশ কয়েকজন পর্যটক জানান, এই ঝরনায় আসার পথে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছোট ছোট ঘর, ঝিরি থেকে বয়ে যাওয়া হিমশীতল পানি সত্যিই উপভোগ্য। এখানে এলে মনে হয় পৃথিবীর সব সুখ এখানে রয়েছে। যেই আসবে এখানের প্রশংসা করতে বাধ্য হবে। প্রকৃতি আপন মহিমায় ঢেলে সাজিয়েছে এখানে। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর খবর পেয়ে এখানে আসতে আকৃষ্ট হয়েছেন বলে জানান।

ঝরনায় ভ্রমণে আসা কাপ্তাইয়ের সংবাদকর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অর্ণব মল্লিক এবং চন্দ্র সেন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, অপূর্ব এই ফকির মুরং ঝরনা যেন প্রকৃতির অপূর্ব নির্দশন। বিশেষ করে ঝরনায় আসার সময় ঝিরিঝিরি শব্দে পানির প্রবাহমানধারা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এ ছাড়া কমিউনিটি বেইস ট্যুরিজমের আলোকে স্থানীয় জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে এই কাপ্তাই ফকির মুরং ঝরনার সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা যায়। তবে এই ঝরনায় পর্যটকদের আগ্রহ অনেক বাড়বে।

১০০ নম্বর ওয়াগ্গা মৌজার হেডম্যান অরুণ তালুকদার জানান, স্থানীয় ভাষায় এটা ফইরা মুরং ঝরনা নামে পরিচিত। যদি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় তাহলে পর্যটকের আগমন আরও বাড়বে।

ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তপন তনচংগ্যা বলেন, ‘এই ঝরনা দেখতে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই যেন এই ঝরনায় আসার পথটা উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। আমরা মাঝে মধ্যে দেখতে পাই অনেক পর্যটক নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করে। আশেপাশের মানুষের ফলমূল নষ্ট করে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ জানাই।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের তালা

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা

কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদে তারেক রহমানের সহায়তা 

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পটুয়াখালীর ৪ শিক্ষককে বরগুনায় বদলি

ভূমিকম্প থেকে আত্মরক্ষার দোয়া ও করণীয় আমল

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মির্জা ফখরুলের

ধানমন্ডিতে বাবার বাসা মাহবুব ভবনে গেলেন জুবাইদা রহমান

ব্রাজিলের ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ, খেলা দেখবেন যেভাবে

জবির প্রতিষ্ঠাতা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া

ববি ছাত্রদলের তিনটি পদে নির্বাচন শনিবার, লড়বেন ১০ প্রার্থী

১০

মৃত্যুর ফেরেশতা কি প্রাণীদেরও রুহ কবজ করেন? জানুন

১১

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে আমাদের শপথ : সালাউদ্দিন আহমদ

১২

শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে পাকিস্তান, সূচি ঘোষণা

১৩

ঢাকায় স্থগিত পাকিস্তানি ব্যান্ডের কনসার্ট

১৪

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া

১৫

বিপিএল ২০২৬: কোন দলের অধিনায়ক কে, যা জানা গেল

১৬

বেলজিয়াম / যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস

১৭

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতের অগ্রগতির কথা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

মানবিক সংকটে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকাই জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯

গাজীপুর মহানগর পুলিশে বড় রদবদল

২০
X