ফ্রি ফায়ার গেম খেলা দ্বন্দ্বের পূর্ব বিরোধের জের ধরে শাহিন হোসেন (১৬) নামের আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ২টার সময় হিজুলি গ্রামের মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহিন হোসেন আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলি গ্রামের মালিক হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত হামলাকারীরা হলো একই গ্রামের মহিরের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), আলমগীরের ছেলে ইয়াসিন (২০) ও ওয়াসিম (২৫)।
জানা গেছে, মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলা নিয়ে কয়েক মাস আগে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছিল। মঙ্গলবার দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষার অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হিজুলি মসজিদের সামনে অভিযুক্তরা শাহিনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে। ইতোপূর্বে আব্দুল্লাহ ও তার চাচা লালটু একবার শাহিনের ওপর হামলা করেছিল বলে শাহিনের পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে।
হিজুলি গ্রামের মেম্বার আব্দুল্লাহ বলেন, শাহীন ও আব্দুল্লাহর মধ্যে পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল লোকমুখে শুনেছি, তবে এ ব্যাপার নিয়ে কোনো পক্ষই আমার সঙ্গে কথা বলেনি, আগেও একবার মারামারির ঘটনা ঘটেছিল, আজকে আমি এলাকার বাইরে ছিলাম। সন্ধ্যায় বাড়িতে আসার পর ঘটনাটি লোকমুখে জানতে পারি।
শাহিন হোসেন তার বাবা, বড় ভাই ও চাচাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেদকের কাছে এসে অভিযোগ করে জানান, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে টিকিটে পুলিশ কেস লিখে দেওয়া হলেও থানায় গেলে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়নি। বরং দুর্ব্যবহার করে থানা থেকে বের করে দিয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে মেহেরপুর সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্রতিবেদক সশরীরে থানায় গিয়ে জানতে পারে তিনি আমঝুপিতে ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘটনার সত্যতা জানতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১১টা ৫৫ মিনিট) কোনোভাবেই মেহেরপুর সদর থানার ওসির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন