বনজীবীদের উদ্দেশে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, ‘সারা দেশ উন্নত হচ্ছে, আপনারা কেন এখনো জেলে থাকবেন। পেশা বদলাতে হবে, সন্তানদের মানুষ করতে হবে। অনেক কিছু করার মতো কাজ রয়েছে। সেসব পেশাতে নিয়োজিত হতে হবে।’
তিনি বলেন, বনজীবীদের মানসিক উন্নতির দরকার আছে, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে হবে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) কাশিয়াবাদ স্টেশন চত্বরে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আয়োজনে ভিটিআরটি ও সিপিজি সদস্যদের অংশগ্রহণে বাঘ সংরক্ষণে সমন্বয়ে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন বন উপমন্ত্রী।
উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবনকে ভালোবাসতে হলে প্রতিটি গাছ ও প্রাণিকে ভালোবাসতে হবে। বাঘ সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঘ রক্ষা করতে হবে। বন্য শুকর ও হরিণ পর্যাপ্ত থাকলে বাঘ এলাকায় আসে না। বাঘ খাদ্যের অভাব না হলে বন ছেড়ে লোকালয়ে আসে না। বাঘ সুরক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমারদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের ডিএফও ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন।
কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল ও বানিয়াখালী স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ডিএফও কাজী মুহা. নুরুল করিম, খুলনা ডি সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এজেডএম হাছানুর রহমান, কযরা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান এস এম লুৎফার রহামন, মহারাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইউছুফ আলী, ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মোল্লা, নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা মো. তানজিলুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন