সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং হালকা বাতাস রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিক রয়েছে। বাতাস বৃদ্ধি পেলে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বাড়তে পারে। এদিকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক থাকায় মগনামা-কুতুবদিয়া ঘাট পারাপার চালু রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করছে সিপিপি।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) পেকুয়াতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসকের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলার ১২১টি সাইক্লোন শেল্টার, ৭টি মেডিকেল টিম, ৭টি সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে। শুষ্ক খাবার, পানি ও মোমবাতি মজুদ রয়েছে। উপজেলার ৩টি নদীর তীরবর্তী ইউনিয়ন উজানটিয়া, মগনামা, রাজাখালীর বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।
পেকুয়া উপজেলার সিপিপির ডেপুটি লিডার আবুল কাশেম বলেন, ৭ ইউনিয়নে আমরা লোকজনকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করে যাচ্ছি। শিশু, প্রতিবন্ধী ও গর্ভবতী মহিলাদের আগে থেকেই নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। যদি মহাবিপদ সংকেত দেয় তখন উপকূলের সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাব।
মন্তব্য করুন