৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপে হামলার শিকার হন জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় কাকরাইল মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক। পুলিশের এই অতর্কিত হামলায় আহত হন জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ, মাসুদ রানা, ওমর ফারুক খানসহ অনেকে।
জুলাই যোদ্ধাদের ওপরে পুলিশের এই হামলার কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধা জবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, সরকারের রাষ্ট্রীয় বাহিনী আওয়ামী কায়দায় আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমাদের শিক্ষকদের পর্যন্ত তারা লাঠিচার্জ করেছে। এই পুলিশ ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও আমাদের রক্ত ঝরিয়েছে এবং এখনো তাই করল। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিন এবং যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করুন।
আহত জুলাই যোদ্ধা ফেরদৌস শেখ বলেন, আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো মানে বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানোর শামিল। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জুলাই বিপ্লবে আহত জবির আরেক শিক্ষার্থী ওমর ফারুক খান বলেন, যেই সরকারকে আমরা আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে বসিয়েছি সেই সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করল, শিক্ষকদের ওপর হামলা চালালো, আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের আহত করল- এটা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না।
মন্তব্য করুন