ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাতভর অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। তবে পুলিশ বলছে, গণগ্রেপ্তার নয়, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত পাবনা জেলার সকল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাবনা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ প্রশাসন) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সংখ্যা বলতে পারেননি।
তবে বিএনপির দেওয়া প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও পাবনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ তৌফিক হাবিবসহ তিনজন, আটঘরিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ফরিদসহ দুজন, আতাইকুলা ছাত্রদল ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শান্ত ও মাধপুরের সোলাইমান, বেড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. ফারুক আহমেদ জনি, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. দুলাল ও সুজাগর থানায় ছয়জন রয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, অনেক নেতাকর্মীদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই, অনেকেই জামিনে রয়েছে। তারপরও তাদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঢাকায় আমাদের মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে এ গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কিন্তু কোনোভাবেই এ মহাসমাবেশ আটকানো সম্ভব নয়, মানুষ স্রোতের মতো মহাসমাবেশে আসছে।
তবে পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার করলে তো অনেক গ্রেপ্তার হতেন। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, আগে মামলা রয়েছে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেই কেবলমাত্র গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন