ফাতেমা খাতুন নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে। ফাতেমা ওই গ্রামের মহব্বাত আলী মন্ডলের কন্যা। সে স্থানীয় পানামী প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রী।
শিশুটির পিতা মহব্বাত আলী মন্ডল জানান, গত শনিবার গ্রামে ওয়াজ মাহফিল নিয়ে বিশ্বাস ও মন্ডল গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার মাগরিবের নামাজের পর বিশ্বাস গোষ্ঠীর মাতুব্বর আবুল কালাম ও গোলাম মাওলার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সানজিদ, রাব্বি ও আকাশের নেতৃত্বে মন্ডল পাড়ায় মহড়া দেয়। এ সময় ফাতেমা খাতুন বাড়ির বাইরে দাড়িয়ে ছিল। কাউকে না পেয়ে মন্ডল বাড়ির শিশু হওয়ায় তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তারা। শিশুটিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মাথায় ৮টি সেলাই দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হরিশংকরপুর পুলিশ ফাড়ির এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, সোমবার গোয়ালপাড়া বাজারে মন্ডল গ্রুপের ছেলেদের সঙ্গে বিশ্বাস গ্রুপের ছেলেদের তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় মন্ডল বাড়ির ছেলেরা বিশ্বাস বাড়ির একটি ছেলেকে ঘুষি মারে। এ ঘটনার জের ধরে ওই শিশুটিকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় আহত কিশোরীর পিতা মহব্বাত আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো. শাহীন উদ্দিন জানান, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন