বরগুনায় হঠাৎ করেই মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সব ধরনের সবজিতে। ফলে সবজি কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের সাধারণ ক্রেতাদের। অপর দিকে আগামীকাল কাল থেকে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করার আশ্বাস দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বরগুনা সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির মূল্য কেজি প্রতি সর্বনিম্ন ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কোনো কোনো সবজিতে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজারে আসা কয়েকজন সবজি ক্রেতা কালবেলাকে জানান, এমনভাবে সবজির দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের মত মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সবজি ক্রয় করতে কষ্টকর হয়ে পরবে। একদিকে নদীতে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে যেমন মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের সাথে সাথে সবজির দামও বৃদ্ধি পেলে হয়তো সবজি নয়তো মাছ কিনে বাসায় যেতে হবে। এ সময় তারা ভোক্তা অধিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যাতে সবজি দাম যাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে সে বিষয়ে তারা যেন একটু লক্ষ্য রাখেন।
বরগুনা পৌর সবজি বাজারের কয়েকজন খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা কালবেলাকে বলেন, পাইকারি বাজারে গতকালের থেকে আজকে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি বাজারে গতকাল কেজি প্রতি পটোল ছিল ৫০ টাকা আজকে ৬০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, মুলা ৫৫ টাকা, গতকালকে বেগুন ছিল ৪০ টাকা আজকে ৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচ গতকাল ছিল ১৪০ টাকা আজকে ১৬০ টাকায় পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করেছি। তবে আমরা কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা লাভ নিয়ে বিক্রয় করি।
বরগুনা ট্রেডার্সের বাবু নামের এক পাইকারি ব্যবসায়ী মোবাইল ফোনে কালবেলাকে জানান, মোকামে দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের দামবৃদ্ধি করে বিক্রি করতে হয়। আবার আমাদের বেশির ভাগ সবজিই পচনশীল, পরিবহন করার সময় অনেক সবজি এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয় বা পচন ধরে। বিশেষ কারণে কিছু আগে ধরে বেশ কয়েক দিন একটানা বৃষ্টির কারণে স্থানীয় কৃষকদের সবজি উৎপাদনও কম। উৎপাদন কম হওয়ার কারণেই সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরগুনার সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আসা একটি চিঠি নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আজকেই আমরা একটি মিটিং করেছি। বাজার মনিটরিং সেল আরও জোরদার করা হবে।
মন্তব্য করুন