গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর শিল্পাঞ্চল এলাকাসহ বেশিরভাগ শিল্প এলাকায় কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে এসব কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাজে ফিরেছেন লাখো শ্রমিক। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানা এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শ্রমিকদের সহিংস আন্দোলনের মুখে অর্ধশতাধিক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ও বিজিএমইএ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাজীপুরের সব কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালিক পক্ষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা, চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন শিল্প অধ্যুষিত এলাকার অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব কারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজে ফিরেছেন লাখো শ্রমিক। আগের মতো কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে কারখানাগুলোতে। শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ায় খুশি।
শিল্পপুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কোনাবাড়ী এলাকায় তিনজন ও ভোগড়া বাইপাস এলাকায় একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের পাঁচটি কারখানায় শ্রমিকরা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেন।
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকে কোনাবাড়ী, কাশিমপুরসহ কারখানা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও আশপাশের এলাকার বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন চলছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ বলেন, গাজীপুরে বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ নিবন্ধিত তৈরি পোশাক কারখানা ২ হাজার ৩৫০টি। এ ছাড়া অনিবন্ধিত ছোট ও মাঝারি তৈরি পোশাক কারখানাসহ জেলায় ৫ হাজার পোশাক কারখানা রয়েছে। এদের মধ্যে ১২৩টি তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার, গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক আসামি।
মন্তব্য করুন